পাথরঘাটায় বিস্ফোরণে আহতদের দেখে নামার সময় চমেক হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলীয় বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের বহনকারী লিফটি গ্রাউন্ড ফ্লোরে পৌঁছে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেয়ে কয়েক ফুট নিচে চলে যায়। এ সময় নেতৃবৃন্দের চিত্কারে চমেক হাসপাতালের লোকজন এসে প্রায় ১৫ মিনিট পর তাদের উদ্ধার করে। গতকাল সোমবার বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, পুরোনো ব্যবহার অনুপযোগী লিফট ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করছেন চমেক কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ৫ম তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে ৩ নম্বর লিফটে নামার সময় নিচতলার কাছাকাছি এসে বিকট শব্দে লিফটটি আটকে যায়। খবর পেয়ে নিচে অপেক্ষমাণ আমীর খসরুর একান্ত সচিব মো. সেলিমসহ কর্মীরা মিলে লিফটের দরজা টেনে তাদের বাইরে নিয়ে আসেন। নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব নেতা ডা. খুরশিদ জামিলসহ বিএনপির ১৫-২০ নেতাকর্মী লিফটে ছিলেন। ডা. খুরশিদ জামিল চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলামকে এ বিষয়ে ফোনে জানান। হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, লিফটের কোনো সমস্যা নেই এবং নেতাদের বহনকারী লিফটে কোনো ত্রুটি দেখা দেয়নি। তারা ভালোভাবেই নামতে পেরেছেন।